SEO কি-SEO কিভাবে করতে হয়

আরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫

SEO কি SEO এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সহজ কথায় আমরা যখন google কিংবা অন্য যেকোনো চার্জ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে ছাড়ছি তখন google কিংবা ওই চার্জ ইঞ্জিল কতগুলো রেজাল্ট দেখায়।

সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দ মত লিংকে ক্লিক করে আমরা কাঙ্খিত ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের দরকারি তথ্য খুঁজে পাই। আর যে কারণে গুগল কিংবা কোন চার্জ ইঞ্জিন ওই রেজাল্ট গুলো দেখায় সেই কারণ কিংবা পদ্ধতিকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

বর্তমান সময়ে আমরা সবাই গুগল সার্চ ইঞ্জিন কি তা জানলেই এসইও কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এটি খুব কম মানুষই জানে। তাই এই ব্লকটি হবে তাদের জন্য করার পূর্ণাঙ্গ জীবন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অতীত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেটির মাধ্যমে যেকোনো ওয়েব পেজে শত শত কিওয়ার্ড রিচার্জ এর জন্য সার্চ ইঞ্জিনের জায়গা নিয়ে থাকে। 

আমরা স্বাভাবিকভাবে আমাদের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিলে Rank করানোর জন্য এসইও করি। এসে করার মাধ্যমে আমরা সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের প্রথমে চেষ্টা করি। তখন কোন কিছু নিয়ে চার্জ দেয় তখন রেজাল্ট পেজে প্রথমে যারা থাকে তাদের লিংকেই ক্লিক করে।

SEo বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল একটি প্রক্রিয়া যা আপনার ওয়েবসাইট বা কনটেন্ট এ সার্চ ইঞ্জিনের উচ্চতর অবস্থান নিয়ে আসে। সার্চ ইঞ্জিন গুলোর কাজ হল তাদের ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্মত কনটেন্ট প্রদর্শন করা। সার্চ ইঞ্জিনের রেংকিং নির্ধারণ করে কিভাবে একটি পেজ চার্জ রেজাল্ট প্রদর্শিত হবে এবং এটি কতটা প্রাসঙ্গিক হবে সেটাই  হলো এসই।

এসইও কি , আমরা জানি এসইও হলো তিন প্রকার, ১ অন পেজ এসইও ২,অফ পেজ এসইও ৩, টেকনিক্যাল এসইও ।

• অন পেজ এসইও কিঃ যখন কোন সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কাজ করা হয় তাকে ওয়ান পেজ এসইও বলা হয়। উদাহরণ হলো , আপনার ব্লগ পেজ বা কোন ই কমার্স ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য অন পেজ এস ব্যবহার করতে পারেন। 
• অফ পেজ এসইও কিঃ অফ পেজিয়ে হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট এর বাহির থেকে অপটিমাইজ করা। আরো সহজ ভাষায় বললে লিঙ্ক মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করায় অফ পেজ এসইও।
• টেকনিক্যাল এসইও কিঃ টেকনিক্যাল এসিও হলো না এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি ওয়েবসাইটকে  অর্গানিক রেংকিং পাওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করে প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে তাকে টেকনিক্যাল এসইও বলে।

SEO কিভাবে কাজ করে এসইও এর কাজ কি 

• লিঙ্কঃ SEO কি এসইও করার সবচেয়ে শক্তিশালী টেকনিক হলো লিংক বিল্ডিং। এক ওয়েবসাইটের লিংক থেকে আরেক ওয়েবসাইটে যাওয়া আপনারও এসইওর রাঙ্ক বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হয়ে এসে  আপনাকে মেনশন করে কিংবা আরেকটি লিংকে ক্লিক করে। তাহলে সেটা অভ্যেস এসিও হয়ে গেলো।  যে লেখার যত বেশি রেংক করা ওয়েবসাইটে লিঙ্ক মেনশন করা হয় সেইসব পেজ সার্চ ইঞ্জিনের উপর দিকে থাকে। 
• কনটেন্ঃ এসইও এর ক্ষেত্রে কনটেন্ট বলতে সাধারণত ব্লগ কে বোঝানো হয়। আপনার ব্লক যদি কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ হয় তাহলে খুব সহজেই ওয়েবসাইটের ট্রাফিক আনা যাবে। আর কিওয়ার্ড রিচার্জ হলো এসইও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর একটি এমন গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরীভাব যেখানে জনপ্রিয় এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে অধিক পরিমাণে চাষ কিওয়ার্ড এবং খুঁজে বের করা হয়। 
• পেজ  স্ট্রাকচারঃ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটে যেকোনো পেজ অপটিমাইজ করে বেশি ট্রাফিক বা ভিজিট পাওয়া যায়। এটি কে অপ্টিমাইজ করতে আমরা ওয়েব পেজেও এইচ টি এম এল সোর্স কোড ব্যবহার করে থাকি। এটাকে অন পেজ এসে বলা হয়। এটা দিয়ে ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ কাজ যেমন মোটা টাইটেল ইউ আর এল সেটআপ মেটা ডিস্ক্রিপশন ইমেজ অপটিমাইজ ইন্টার্নাল লিংক সাইট স্পিড ওয়েবমাস্টার টুল সাবমিশন এনএইচ সেটআপ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। 

সঠিক কিওয়ার্ড আপনার কনটেন্টে যথাযথভাবে তার টার্গেটড

অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছে দেয়। যেকোনো আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা সবচেয়ে প্রথম ধাপ হল কিওয়ার্ড রিচার্জ। এতে করে সাইডে দুটো ট্রাফিক ও ভিজিটর আসবে। ইউ আর্ট ব্যবহার করার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম আছে ।সেগুলো হল:

আপনার কনটেন্টের মার্কেটিং করার জন্য যখন আপনি অডিয়েন্সকে রিসার্চ বিশ্লেষণ ও টার্গেট কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে। আপনার কি ওয়ার্ডে যেন টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়। 

শুধু অডেন্স এর প্রোডাক্ট ব্রান্ড ও সার্ভিসের উপর নির্ভর করে ও সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। 

কি ওয়ার্ড যত জনপ্রিয় হয় তত তার রেংক করা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ একসাথে অনেক ওয়েবসাইট থাকে সেই একই কেউ আর তাদের কনটেন্টেও আছে এবং ব্যবহার করে থাকে। হলে বুঝে শুনে ভালো কোয়ালি মেন্টেন করে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা দরকার। 

SEO কি সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন ব্যবহার করে টেকনিক্যাল অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল ইয়াহুয়া বিং ইত্যাদি ব্যবহার করে কোন একটি ওয়েবসাইট থেকে বেশি পরিমাণে ভিজিটরও ট্রাফিক নিয়ে আসা যায়। এটা এসইও অর্গানিক রেংকিং পাওয়ার ভালো উপায়। এর মধ্যে যেসব এলিমেন্টার উপায় বেশি ফোকাস রাখতে হবে।

• টাইটেল ট্যাগ: HTML Page এই টাইটেল দেওয়ার জন্য টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। ইনটেক্স সবার উপরে শিরোনাম হিসেবে থাকে। এই সঠিক ব্যাপার আপনার কনটেন্ট গরু এসইও ফ্রেন্ডলি করবে। 
• মেটা ডিস্কক্যাপশনঃ মেটা ডিসক্রিপশন কোন র‍্যাংকিং ইন্ডিকেটর নয়। তাই এতে অযথা কিওয়ার্ড স্টাফিং এর দরকার নেই। আপনারClick through rate (CTR) রেংকিং সিগনাল। 
• হেডিং ও সাব হেডিংঃ হেডিং ও ছাব হেডিং স্পেসিফিকভাবে লিখে দেখুন। এতে করে ক্লিক রেট বাড়বে। 
• পেজ লোডিং স্পিডঃ আপনার পেজ যদি লোড হতে তিন সেকেন্ড বেশি সময় নেয় তাহলে অডিয়েন্স অধৈর্য হয়ে আপনার ওয়েবসাইট থেকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাই এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে। 
• মোবাইল ফ্রেন্ডলিঃ মোবাইল ফ্যামিলি ওয়েবসাইটগুলো খুব সহজেই সার্চ রিং এর উপরে জায়গা করে নেয়।

SEo কি এসইও করে আয় কত হবে তা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের বাক্য কোম্পানির জন্য এসইও করছেন। সাধারণত ২-৩ বছরে অভিজ্ঞ একজন এসইও এক্সপার্ট এর আই মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১  লক্ষ  টাকার বেশি আয় করতে পারবে। কারণ তার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি সে মার্কেটপ্লেসের কাজ করে তা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। যারা ভালো একজন এসইও এক্সপার্ট তাদের মার্কেটপ্লেসে মূল্য অনেক বেশি ‌।

SEo কি সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে তা বোঝা এসইও শিখার প্রাথমিক ধাপ। সার্চ ইঞ্জিল গূলিং এুলিং  ইনডেক্সিং এবং র‍্যাংকিং এর মাধ্যমে পেজ বিশ্লেষণ করে।

• ক্রলিং : সার্চ ইঞ্জিনের হট বা ক্রলার গুলি ওয়েব পেজ স্ক্যান করে ।   ক্রলিং হলো সেই প্রক্রিয়া যা সার্চ ইঞ্জিনিয়ার বড গুলো নতুন এবং আপডেট কনটেন্ট সনাক্ত করতে ব্যবহার হয়।
• ইনডেক্সিং: ইনডেক্সিং সেই প্রক্রিয়া  যেখানে ক্রল করা তথ্য সার্চ ইঞ্জিনিয়ার ডেটাবেসে সংরক্ষিত হয়। ইনডেক্সিংয়ের এর মাধ্যমে সার্চ  ইঞ্জিন প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট দ্রুত খুঁজে পায় এবং প্রদর্শন করে।
• র‍্যাংকিং: রাঙ্কিং হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে চার্জ ইঞ্জিন কন্টেন্টের গুণগত মানের ভিত্তিতে পেজের অবস্থান নির্ধারণ করে। এটি বিভিন্ন ফ্যাক্টর যেমন কিওয়ার্ড, কনটেন্ট গুণ এবং ব্যাকলিংকের এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হয়।

সার্চ ইঞ্জিনের কাজের প্রক্রিয়া বোঝা আপনাকে কিভাবে আপনার কনটেন্ট ওয়েবসাইটে অপটিমাইজ করতে হবে তা জানতে সাহায্য করবে।

 SEO করতে কেমন সময় লাগে

SEO কি এসইও একটি চলমান প্রক্রিয়া যার সম্পদ থেকে মধ্যম মেয়াদের ফলাফল দেখতে পারে তবে স্থায়ী এবং উল্লেখ্যযোগ্য ফলাফলের জন্য কয়েক মাস থেকে এক বছর সময় লাগতে পারে ফলাফল শান্তির সময় বিভিন্ন ফ্যাস্টোরের উপর নির্ভর করে।

উপরে আলোচনা থেকে আমরা এসইও কি। এসইও কাকে বলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম।  এসইও শিখতে অনেক সময় ও ধৈর্য প্রয়োজন হয় । এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যেখানে নিয়মিত এসইও শিখতে এবং নতুন কৌশল প্রয়োগ করতে হয়। উপরে বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝে এবং চর্চা করে আপনি কেসিওতে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে আরো সফল করতে   এসইও গুলো মেনে চলো এবং ক্রমাগত শিখতে থাকুন‌। এবং আপনার জ্ঞানকে আরো বাড়াতে SEo  কি SEo কাকে বলে এই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

SEO কি এই আর্টিকেলে যদি এসইও বুঝতে কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবে। এবং আরো এমন ধরনের গুরুত্ব পূর্ণ আর্টিকেলগুলো বিনামূল্যে আমাদের এই ওয়েবসাইটে পাবেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন। সবাই ভালো থাকবেন , আবার দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেল, আল্লাহ হাফেজ।