চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

 চুলের যত্নে  কালোকেশী ব্যবহার এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কালকে শিব ব্যবহারের ফলে চুলের কি কি উপকার হয়। চলুন আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনে নিই। 

চুলের যত্নে কালো কালোকেশী ব্যবহার


কালোকেশী পাতা গ্রাম অঞ্চলের মানুষের সাথে অনেক ভালো পরিচিতি রয়েছে। এর গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেই জানে আবার অনেকেই জানে না। কি গোল রয়েছে কালোকেশীর মধ্যে। কালোকেশী ব্যবহারে চুলের কি কি উপকার হয়। শুধু কি চুলের উপকার হয় নাকি আরো অন্য কোন উপকার রয়েছে। 

পেজ সূচিপত্র: চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার 

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করা হয়। ঝলমলে সুন্দর চুল করতে কালোকেশী ব্যবহার করতে হবে। প্রত্যেকেই চাই তাদের চুল যেন সব সময় সুন্দর এবং ঝলমল করুক। বিশেষ করে মেয়েরা প্রত্যেকে চায় তাদের চুল লম্বা এবং কালো রঙ্গের ঝলমলে  চুল হোক। চুল যত বেশি লম্বা এবং ঝলমলে কালো হবে দেখতে তত বেশি সুন্দর লাগবে। এজন্য প্রত্যেকের চুলের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন ধরনের পোডাষ্ট ব্যবহার করতে হবে। তার মধ্যে একটি হলো কালকেশী। 

আরো পড়ুন: কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

বাজারে এরকম হাজার হাজার প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করলে চুলের যদিও কিছু উপকার হয়। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে বাজারের বিক্রিত সমস্ত প্রোডাক্টের মধ্যে কেমিক্যালযুক্ত রয়েছে। আর এই কেমিক্যাল এর কারণে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এবং চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে চুল পড়া আরো অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে।

অনেক সময় এই কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টস ব্যবহার করার ফলে মাথার স্কিনে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা চাইলেও ঘরে বসে নিজের চুলের জন্য ঘরোয়া ভাবে কালোকেশী ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিতে পারি। কালোকেশী ব্যবহার চুলকে লম্বা করা যায় চুল ঘন ও কালো হয় এবং চুলের খুশকি দূর হয়।

তাই আমরা বাজারের বিভিন্ন প্রোডাক্টস ব্যবহার না করে। চাইলে নিজে নিজে কালোকেশীর পাত্তা ব্যবহার করে চুলকে সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে পারি। কালোকেশীর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি চুলের গোড়া থেকে মজবুত করতে সাহায্য করে। এবং মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এই কালোকেশী।

কালোকেশী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য 

চুলের যত্নে কালোকেশী  ব্যবহার কালোকেশী এমন একটি উদ্ভিদ যার ভিতরে রয়েছে অনেক ধরনের ওষুধি গুনাগুন। যে  গুনাগুন গুলি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরাই অজানা। যদিও গাছের সাথে আমাদের খুব ভালো পরিচিতি রয়েছে। কেননা কালো কিসের গাছ রাস্তাঘাটে পুকুর পাড়ে খাল বিলে নদীর ধারে বা যে কোনো জলাশয়ের মধ্যে জন্মে থাকে। কালো কেসের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত রয়েছে। 

যেমন কালোকেশী কেশরাজ কল সাতা কেশত পাতা ইত্যাদি। নাম যেটাই হোক না কেন এর গুনাগুন রয়েছে কিন্তু অনেক বেশি। আদিকাল থেকেই মা বলে রাফুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার করে থাকেন। চুলকে কালো করার জন্য কালোকেশী পাতা সেই অদ্ভুত একটা ভূমিকা পালন করে। শুধু চুল কালো করার ক্ষেত্রে নয় চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে এই কালোকেশী।

চুল পড়া খুশী হওয়া চুল কালো করা চুল পাকা দূর করা ইত্যাদি। কালোকেশীর গাছ শুধু বাংলাদেশেই নয় আরো অনেক দেশে পাওয়া যায় যেমন ভারত ব্রাজিল ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশের মানুষ কালোকে সেই চুলের ব্যবহার করে অনেক উপকার পেয়েছে। কালোকেশী যেহেতু বিভিন্ন জলাশয়ের মধ্যে জন্মায়। তাই এটি খুঁজে পেতে হলে অবশ্যই গ্রাম অঞ্চলে যেতে হবে। 

গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন জলাশয়ের মধ্যে এটি পাওয়া যায়। কালোকেশী গাছের সাদা রংয়ের ছোট্ট ছোট্ট ফুল থাকে। তবে কিছু কিছু কালো কিসের জাত এমন রয়েছে যেগুলোর ফুলগুলো হলদ রঙের হয়ে থাকে। এই ছোট এবং অনেক গুণ জাতেফুলগুলোদের মধ্যে রয়েছে ওষুধই উপাদান দিয়ে ভরপুর। 

কালোকেশীর মধ্যে থাকা ঔষধি গুনাগুণ 

চুলের যত্নে কালকেশী অনেক উপকার। কালকে সে শুধু চুলের যত্নইন নয় বরং শরীরের বিভিন্ন রোগের মহা ওষুধ হিসাব কাজ করে এই কালকেশী। আদিকাল থেকে মানুষ কালকে শিল্পী বিভিন্ন রূপের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে যদিও আধুনিকতার মানুষ এখন আর নেই তাই গাছ-গোছার ঔষধের ওপর তেমন একটা ভরসা করে না  মানুষ। এখনকার মানুষ কিছু হলেই ওষুধ সেবন করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আগেকার সময় তো ওষুধ কিংবা ডাক্তার ছিল না তাই মানুষ ঔষধি গাছ গুছালি সেবন করে রোগ মুক্ত করত। 

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার


আদি কালের মানুষ বিভিন্ন গাছ গুছালী থেকে ঔষধ বানিয়ে দিতেন। আর মানুষ বিশ্বাস রেখে সেই গাছের ওষুধ খেতেন। এবং গাছের রস কিংবা পাতা চিবিয়ে খেয়ে তাদের রোগ মুক্তি লাভ করতেন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মতে কাশির জন্য কালকেশীর পাতা রস করে খেলে কাশি ভালো হয়ে যায়। এছাড়া শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে কালো কেসের পাতা রস করে কাঁটা স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন।

দেখবেন সাথে সাথে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং ক্ষতস্থানে ব্যাথা থাকলে সেটা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। শুধু তাই নয় শরীরের মধ্যে কোন ঘা বা ক্ষতস্থানের মধ্যে কালো কেসের পাতার রস ভালোভাবে লাগিয়ে দিলে। ঘা এবং ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে যাই। এছাড়া পেটের কিমি দূর করার জন্য কালোকেশীর রস বা কালো কালোকেশির পাতা গুড়া করে গরম পানি দিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে পেটে কৃমি দূর হয়ে যায়।

কালোকেশী গাছের উপকারিতা 

আমরা এখন জানবো কালোকেশী গাছের উপকারিতা।। কালোকেশী পাতা ফুল ও ফল ব্যবহার করা হয়। পাতার রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয় চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুল ঘন কালো হয়। উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল গ্লাইকোসাইড ফাইটেস্টেরল ইত্যাদি  বিদ্যামান।কালোকেশী চুলের জন্য বেসি উপকারিতা বলে মনে হয় এই কালোকেশী।

ভারতীয় উপমহাদেশে বহুকাল ধরে চুলের যত্নে এই গুণজাতীয় গাছটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। এই গাছ থেকে কালো এক ধরনের রং বের করা হয় যা চুলকে আরো কালো করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুন: পাখি মানুষের কি কি উপকার করে

কিন্তু এই গাছ শুধু চুলের যত্নেই শেষ নয় এই গাছ আমাদের আরো অনেক অনেক উপকারে আসে। তাই এই গাছকে রাস্তার ধারে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের বাড়ির আঙিনায় লাগাতে হবে। না হলে এই মহৎ উপকারী কাজটি একদিন ঠিকই হারিয়ে যাবে।

কালোকেশীর রস খেলে যে সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় 

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার, কালোকেশির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন। আয়ুর্বেদিক দের মতে এই ছোট কালকেশী জাতের উদ্ভিদের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের সমাধান মিলে। তাইতো আয়ুর্বেদিক ওষুধের মধ্যে কালোকেশীর ব্যবহার হয় অনেক বেশি। কালকেশী খাওয়ার মাধ্যমে যে সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

  • কাটা ঘা দ্রুত ভালো করে তোলে 
  • পেটের কৃমি দূর করে 
  • মুখের ব্রণ দূর করে থাকে 
  • ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে 
  • লিভারের সমস্যা দূর করে 
  • মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
  • কাটা ঘা: শরীরের যেকোনো জায়গায় কেটে গেলে অথবা কোন ক্ষতস্থান থাকলে। কালোকেশী রস লাগিয়ে দিলে দুটো রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এবং ক্ষতস্থান দ্রুত সুখে যায়। 
  • পেটে কৃমি: কালোকেশী গাছের রস নিয়মিত খেতে পারলে পেটের কৃমি দূর হয়ে যায়। 
  • ব্রণ: মুখে ব্রণ উঠলে দেখতে একটু কেমন যেন বিশ্রী লাগে। আর ব্রণ যুবক-যুবতীদের বেশি হয়ে থাকে। তাই কেউই চায়না যে তার মুখে ব্রণ থাকুক। এই ব্রণ থেকে মুক্তির সহজ উপায় হল কালোকেশী ব্যবহার করা। যাদের মুখে ব্রণ উঠে তারা কালো কে সেই রস হালকা করে ব্রনের উপরে লাগিয়ে দিলে বন্ধু তো দূর হয়ে যায়। 
  • ডায়াবেটিক: বর্তমান সময়ে  প্রায় সব মানুষের ডায়াবেটিক রোগ দেখা যায়। আর এই ডায়াবেটিস রোগ থেকে  মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে থাকে। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি প্রতিদিন কালকেশীর রস খেতে পারে তাহলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইনশাআল্লাহ। 
  • লিভারের সমস্যা: লিভার মানুষের দামী একটা অঙ্গ। মানুষ যা কিছু খায় তার একটা প্রসেস করে দেয় লিভার। তাই লিভারের যত্ন নেওয়া আমাদের অত্যন্ত জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আমরা যদি সঠিকভাবে লিভারের যত্ন না নিয়ে থাকি তাহলে অকালে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। যার কারনে লিভারের যত্ন আমাদের একটু বেশি সচেতন হতে হবে। নিয়মিত কালোকেশী খাওয়ার কারণে লিভারের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে পারে। 
  • মাথাব্যথা: মাথা ব্যাথা হয় না এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুর্দায়। কেননা আমাদের প্রত্যেকেরই মাথা ব্যাথা করে থাকে। মাথা ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে। যে কারণে মাথাব্যথা হোক না কেন কালো কেশশির রস ব্যবহার করলে নিমিষের মধ্যে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যায়। যারা দীর্ঘদিন যাবত মাথা ব্যাথায় ভুগছেন তারা দুই ফোঁটা কালোকেশের রস নাকে ছিদ্রের মধ্যে দিবেন।এবং অল্প কিছু রস কপালের মধ্যে দিয়ে মালিশ করুন ।দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যে মাথা ব্যথা কমে যাবে।

কালোকেশী ব্যবহার করার নিয়ম

বাংলাদেশের মানুষের কাছে কালোকেশীর পাতা অত্যন্ত পরিচিতি একটি ঔষধি গাছ কালোকেশী। চুলের যত্নে কালকে সে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। কালোকেশীকে অনেকে কেশ্ততি পাতা নামে পরিচিত। মাঠে ঘাটে জলাশয় এর ধারে বা এদিক ওদিকে এ এই কালোকেশী পাতা পাওয়া যায়। নারী বা পুরুষ উভয় সৌন্দর্যের অন্যতম রহস্য হলো চুল। তাইতো এই চুলের প্রতি আমাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। না হলে অকালে মাথার চুল পড়ে টাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যার কারণে ভুগে থাকেন। অনেকেই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নানান রকমের শ্যাম্পু তেল ব্যবহার করেন। যেগুলো চুল পড়া বন্ধ করতে মোটেও কার্যকর নয়। আবার হলে কি এই সমস্যা সমাধান করতে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেই। চুল পড়া সমস্যার ওষুধ হচ্ছে কালোকেশীর গাছ। এই গাছ ব্যবহার করলে আপনার মাথার চুল পড়া বন্ধ হবে। এবং আপনার চুলকে আরো মজবুত করবে।

কালোকেশী কিভাবে চুলে ব্যবহার করে 

চুলের যত্নে কালো কিসের ব্যবহার কিভাবে করবেন তা নিয়ে এখন আপনাদের সামনে আলোচনা করব। চুলকে কালো করার জন্য কালোকেশী সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। যার কারনে এর নাম কালোকেশী বা কেশরাজ বলা হয়। কালোকেশী ব্যবহারের পরে চুলের গোড়া থেকে মজবুত করে তোলে। চুল পড়া বন্ধ করে এবং মাথা ঠান্ডা রাখে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যায় এবং সেই পাকা চুল নিয়ে তারা বিভিন্ন সমস্যা বোধ করে থাকে। বিশেষ করে কোন অনুষ্ঠানে বা কোন জায়গায় পাকা চুল দিয়ে যেতে লজ্জাবোধ করে। তাই এই পাকা চুলকে কালো করার জন্য  কালোকেশী ব্যবহার করতে পারবেন। অকালে পেকে যাওয়া চুলকে কালো করার জন্য কালো কেসের পাতার পানির সাথে মিশিয়ে এবং পানি গরম করে ফুটিয়ে নিন। 

এরপরে পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে আধাঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। মাথার খুশকি দেখা দিলে কালোকেশীর রস ব্যবহার করে খুব সহজেই খুশকি দূর করতে পারেন। শুধু খুশকি নয় কালোকেশী পাতার রস মাথায় ভালোভাবে লাগে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এইভাবে কালোকেশী ব্যবহার করলে মাথা উকুন ও দূর হয়ে যাবে। 

কালোকেশী পাতার তেল তৈরি করার নিয়ম 

কালোকেশী পাতা দিয়ে কিভাবে তেল তৈরি করবেন সেটি জানতে হলে অবশ্যই মন যোগ সহকারে লেখাগুলো পড়তে হবে। সর্বপ্রথম কয়েকটি জবা ফুল মেথি আমলকি এবং কালোশির পাতা একসাথে ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিন। এরপরে ২২৫ গ্রাম নারকেল তেল নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিন 

আরো পড়ুন: সিঙ্গাপুরের ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন

এরপরে মিক্সরনটি চুলাতে জাল দিয়ে হালকা গরম করে নিন। পরে ঠান্ডা করে নিয়ে বোতলের সংরক্ষিত করে রাখুন। একটা কথা ভালোভাবে মনে রাখতে হবে মিশ্রণটি অতিরিক্ত গরম করা যাবে না। এভাবে খুব সহজেই কালোকেশীর পাতা দিয়ে তেল তৈরি করতে পারবেন। এবং এই তেল ব্যবহার করার কারণে আপনার চুল হবে ঝলমলে উজ্জ্বল এবং কালো। কার সাথে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে মাথা খুশকি দূর হয়ে যাবে। এবং আপনার পাকা চুল কালো করতে সাহায্য করবে। 

চুল ঘন করতে কালোকেশীর ব্যবহার

চুল ঘন কালোকেশীর ব্যবহার। ঘন চুল করার জন্য প্রত্যেকেই দাদার রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। কেউ কেউ দামী হেয়ার প্রোডাক্টস ব্যবহার করে থাকে। আবার কেউ ভরসা রাখেন ঘরোয়া ভাবে কিভাবে চুল ঘন করা যায়। কিন্তু সব উপাদান তো আর সব চুলের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই ঘরোয়া ভাবে চুল ঘন করতে হলে কালোকেশীর পাতার রস চুলে লাগালে চুল ঘন হবে। 

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার


এদিকে আমাদের কাছে অনেক দামি দামি হেয়ার প্রোডাক্ট রয়েছে। যা চুলে লাগালে চুল ঘন  হয় না। দামি দামি হেয়ার প্রোডাক্ট লাগানোর ফলে চুল পড়ে যায় অথবা চুল পেকে যায়। মাথায় অনেক খুশকি হয়। মাথা ব্যথা করে এইসব হেয়ার প্রোডাক্ট বাধা দেওয়ার কারণে। 

আপনি যদি বাজার থেকে হেয়ার প্রোডাক্ট না কিনে যদি ঘরোয়া ভাবে কিছু আয়ুর্বেদিক গাছ গুছালে ওষুধ তুলে লাগান। তাহলে আপনার চুল ঘন হবে নিশ্চিত। এবং চুল পড়া মাথায় খুশকি মাথায় যন্ত্রণা এগুলো ভালো হয়ে যাবে আরো অনেক কিছু ভালো হয় এই কালোকেশী ব্যবহার করলে।

উপসংহার: চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার 

আজকে এই কনটেন্টে আমরা জানতে পারলাম চুলের যত্নে কালোকেশীর ব্যবহার। আরো জানতে পারলাম কিভাবে কালোকেশী তেল করে ব্যবহার করতে হয়। তবে একটা জিনিস মাথার মধ্যে রাখতে হবে এই সমস্ত ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করার পূর্বে ভালো কোন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উত্তম।

আজকে আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি কোন উপকার পান। এবং কালোকেশীর গাছের সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পেরেছেন। এবং কালোকেশীর জন্য চুলের কি উপকার তাই আর্টিকেলে লেখা আছে। 

আজকে আমার এই আর্টিকেল পড়ে আপনি যদি কোন উপকার পেয়ে থাকেন। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি। আমাদের আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ সময় নিয়ে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন সবাই ‌। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফোটেক ২৪ জুরে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url